নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়ার বহুল আলোচিত গরু চুরির অপবাদে মা-মেয়েকে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পক্ষে সাফাই না বলায় চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চকরিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিজবাউল হকসহ তিনজনকে শোকজ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সিস্টেম চকরিয়া কমপ্লেক্সে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
তিন আওয়ামীলীগ নেতা হলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চকরিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিজবাউল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আবছার উদ্দিন মাহমুদ ও হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহরাজ উদ্দিন মিরাজ।
জানা যায়, গত ২১ আগস্ট শুক্রবার বিকালে হারবাং ইউনিয়নের পহরচাঁদা গ্রামে গরু চোর অপবাদ দিয়ে মা মেয়েকে বেঁধে নির্যাতনের পর দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় মারধর করেন ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম।
গত মঙ্গলবার এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার পারভীন বেগম বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
শোকজ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাংবাদিক মিজবাউল হক বলেন, মা-মেয়েকে নির্যাতনকারী ইউপি চেয়ারম্যান মিরানের পক্ষে কথা না বলা ও সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে আমাকে শোকজ করা হয়েছে। এ শোকজের মাধ্যমে একজন নারী নিযার্তনকারী ও বহু অপকর্মের হোতার পক্ষে অবস্থান নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগ।
চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক কমিশনার ছৈয়দ আলম বলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাংবাদিক মিজবাউল হক সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশ করে। উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আবছার উদ্দিন মাহমদ ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যটাস দেন ও মেহরাজ উদ্দিন মিরাজ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার অপরাধে তারা তিনজনের বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামীলীগ শোকজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
পাঠকের মতামত: